Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভোলাব ইউনিয়নের ইতিহাস

          রাজধানী ঢাকার পূর্ব সীমানায় মৃদুমন্দ স্রোতস্বীনী শীতলক্ষ্যার দুই তীরের বিসত্মীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে উঠা জনপদ নারায়ণগঞ্জ জেলার ভোলাব উপজেলা।

 

          সীমানাঃ- ভৌগোলিক ভাবে এ উপজেলার উত্তরে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলা, পশ্চিমে রাজধানী ঢাকার ডেমরা, সবুজবাগ ও গুলশান থানা, দক্ষিণে সোনারগাঁ ও পূর্বে আড়াইহাজার ও সোনারগাঁ উপজেলা।

 

          নামকরণঃ- ‘‘ভোলাব’’ নামকরণের সঠিক ইতিহাস আজও অজানা। তবে পটুয়ার নিখুত তুলির অাঁচড়ে পটে অাঁকা ছবির মত নদী, গিরি, বনরাজী বেষ্টিত দিগমত্ম জোড়া সবুজ মাঠের  নৈসর্গের মহা সমারোহে মুগ্ধ হয়ে কোন  প্রকৃতি প্রেমী, সৌন্দর্য পিয়াসী ভাবুক পর্যটক এ এলাকা দর্শনে বিমোহিত হয়ে বিমুগ্ধ চিত্তে আনমনে হয়তো বলে ফেলেছিলেন-‘‘ভোলাব’’।

 

পরিবেশ  ও প্রকৃতিঃ

 

          ভোলাব উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের উর্বর ভূমিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করতে প্রকৃতি  যেমন কার্পণ্য করেনি, তেমনি ভোলাববাসীরাও যুগ যুগ ধরে এ সৌন্দর্যকে লালন করে আসছে নিবিড় আমত্মরিকতার সাথে। ভোলাব ইউনিয়নের  প্রায় সমসত্ম অংশ জুড়ে উর্বর পলি সমৃদ্ধ দিগমত্ম বিসত্মৃত ফসলের মাঠ ও বৃক্ষরাজির সবুজ আবরণে আচ্ছাদিত লোকালয় গুলোতে সুলতানী আমল থেকে বৃটিশ জমিদারদের কীর্তিগাঁথা মসজিদ, মন্দির, সরোবর সহ দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক স্থাপনা ভোলাব ইউনিয়নের সৌন্দর্যকে করেছে সমৃদ্ধ। ইউনিয়নের উত্তরা পাশ দিয়ে বয়ে গেছে প্রবাহমান শীতলক্ষ্যা নদী।  বৃটিশ আমলে অভিজাত জমিদারদের আবাসস্থল ছিল ভোলাব ইউনিয়নের অভ্যমত্মরে চারিতালুক গ্রামে পাল বাড়ী নামে খ্যাত। নদীর তীর ঘেঁসে সুবিন্যসত্ম সড়কের দুপাশে সাজানো ঝাউয়ের সাড়ি , ফাঁকে ফাঁকে নদী তীরে সান বাঁধানো ঘাটলা, প্রায় শত বিঘা জায়গার উপর মনমুগ্ধকর আম্রকানন, নয়নাভিরাম উদ্যান, গভীর কালো জলে ভরপুর সান বাঁাধানো বৃহদাকার পুকুর, শ্বেত পাথরে আবৃত পোড়া মাটির শিব মন্দির সহ মধ্যযুগের বৃটিশ আদলে তৈরি সুরম্য দ্বিতল অট্টালিকা সহ একই সমামত্মরালে নদীর তীর জুড়ে  বিশাল বিশাল অট্টালিকা সহ জমিদার বাড়িগুলো আজো ভোলাব ইউনিয়নের অতীত ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করে চলছে। ভোলাব ইউনিয়নের অতীত ঐতিহ্যকে অবলমবন করে বর্তমানে গড়ে উঠতে চলেছে আধুনিক শহর পূর্বাচল।

 

          ভোলাব উপজেলার উত্তর পূর্বাংশে অবস্থান এই ইউনিয়নের। ১৯৭১ এ মুক্তিযোদ্ধাদের বিচরণক্ষেত্র ছিল এই ইউনিয়ন। কৃষি প্রধান এলাকা এটি। পানের বরজ ও কলার চাষ উলেস্নখযোগ্য। তাuঁতর তৈরি বিছানার চাঁদর ও তোষকের কাপড়ের জন্য বিখ্যাত এই ইউনিয়ন।